নিউমোনিয়া ফুসফুসের প্রদাহজনিত রোগ। সাধারণত ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের সংক্রমণে নিউমোনিয়া হয়। সাধারণত বয়স্ক ব্যক্তি, যাঁরা দীর্ঘদিন নানা রোগে ভুগছেন অথবা যাঁদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল বা কম, তাঁরা নিউমোনিয়ায় বেশি আক্রান্ত হন।
হঠাৎ শীত পড়ে গেছে। এই আকস্মিক ঠান্ডায় নিউমোনিয়ার প্রকোপ বাড়তে পারে। তরুণ, অল্প বয়স্ক, স্বাস্থ্যবান ব্যক্তিদেরও নিউমোনিয়া হতে পারে। বাংলাদেশে এখনো শিশুমৃত্যুর অন্যতম কারণ নিউমোনিয়া। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কেমিক্যাল বা এসপিরেশনের (বাইরের কোনো বস্তুর ফুসফুসে প্রবেশ) জন্যও নিউমোনিয়া হতে পারে। সচরাচর পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীদের নাকে নল দিয়ে খাবার খাওয়ানোর সময় বাইরের কোনো বস্তু বা খাবার ফুসফুসের ভেতর চলে যায়। একে এসপিরেশন নিউমোনিয়া বলা হয়।
নিউমোনিয়ার উপসর্গগুলো নির্ভর করে শারীরিক অবস্থা এবং কী ধরনের জীবাণুর সংক্রমণ হয়েছে, তার ওপর। নিউমোনিয়ার প্রধান লক্ষণ হলো জ্বর। তবে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা যাঁদের দুর্বল, তাঁদের জ্বর না-ও আসতে পারে। অনেক সময় কাশি, শ্বাসকষ্ট, কাঁপুনি, বুকে ব্যথা হতে পারে, যা শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে বাড়ে ও কমে। উচ্চমাত্রার জ্বরের সঙ্গে কাশি, শ্বাসকষ্ট, ঘাম, বুকে ব্যথা হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
জ্বর হলে প্রচুর বিশ্রাম নিতে হবে। প্রচুর পরিমাণ পানি খেতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বুকের এক্স-রে ও রক্তের কমপ্লিট কাউন্ট করে চিকিৎসকের কথামতো অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে। কখনো কফ পরীক্ষাও লাগতে পারে। মনে রাখবেন, সাধারণ ফ্লু বা সর্দি-কাশি আর নিউমোনিয়া এক নয়। ফ্লু হলে সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক লাগে না। বুকের এক্স-রেতেও তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যায় না।