বিমানবন্দর লাইভ বিলম্বিত: ম্যানচেস্টার এবং গ্যাটউইকে কুয়াশার কারণে যাত্রীরা ভারী বিলম্ব এবং বাতিলের সম্মুখীন হচ্ছে

ম্যানচেস্টার বিমানবন্দরে বিলম্বিত যাত্রীরা তাদের হতাশা ভাগ করে নিয়েছে কারণ তারা তাদের ফ্লাইট বাতিল হবে কিনা তা দেখার জন্য অপেক্ষা করছে।

একজন ভ্রমণকারী বলেছেন যে তারা দুই ঘন্টা বিলম্বের সম্মুখীন হয়েছে কিন্তু পূর্ণ হওয়ায় আরামে অপেক্ষা করার জন্য একটি এয়ারলাইন লাউঞ্জে যেতে পারেনি।

যুক্তরাজ্যের মোটরওয়ে এবং ব্যস্ততম এ-রোডগুলি পরিচালনাকারী ন্যাশনাল হাইওয়েস বলেছে যে কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া তার নেটওয়ার্কে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলছে না।

যাইহোক, এটি গাড়ি চালকদের কুয়াশাচ্ছন্ন অবস্থায় গাড়ি চালানোর সময় ডুবানো হেডলাইট, ওয়াইপার এবং ডেমিস্টার ব্যবহার করার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

জন মিচেল, 47, শুক্রবার সকালে তার বাবা মারা যাওয়ার পরে অ্যাবারডিনে ফিরে যেতে মরিয়া।

মিচেল, যিনি লন্ডনে বন্ধুদের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন, শুক্রবার গ্যাটউইক বিমানবন্দর থেকে শেষ মুহূর্তের ইজিজেট ফ্লাইট বুক করেছিলেন যা এখন কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে তিন ঘন্টারও বেশি বিলম্বিত হয়েছে।

মি. মিচেল বলেছেন যে তিনি “একেবারে বিধ্বস্ত” এবং আশা করেন যে তার ফ্লাইট যা 10.53pm পর্যন্ত বিলম্বিত হয়েছে তা আসলে শুক্রবার উড়বে।

“আসলে রবিবার পর্যন্ত আমার লন্ডনে থাকার কথা ছিল, কিন্তু আমার পারিবারিক শোক ছিল। আমার বাবা আজ সকালে মারা গেছেন, “মিস্টার মিচেল পিএ নিউজ এজেন্সিকে বলেছেন।

“আমি যে ফ্লাইটটি বুক করেছি তা সন্ধ্যা ৭.৩৫ মিনিটের জন্য কিন্তু এখন অনুমান করা হচ্ছে রাত ১০.৫৩ মিনিটে ছাড়বে – প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা দেরিতে। আমি চিন্তিত কারণ অ্যাবারডিন বিমানবন্দরে দেরিতে ফ্লাইটের জন্য নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

“আমি এখানে একটি বিশৃঙ্খলা করছি, কারণ, স্পষ্টতই, আমি একবার বাড়ি ফিরে – যদি আমি আজ রাতে অ্যাবারডিনে বাড়ি ফিরে যাই – আমার গাড়ি আসলে বিমানবন্দরে রয়েছে, যা ভাল।

“আমাকে যেতে হবে এবং আমার পরিবারকে দেখতে হবে, এবং আমি আগামীকাল সকাল 11.30 টায় তাদের কাছে যাব না।

“আমি একেবারেই বিধ্বস্ত। আমি কি করব জানি না।”

লাইভ প্রস্থান বোর্ডগুলি এখন দেখাচ্ছে যে শুক্রবার সন্ধ্যায় ম্যানচেস্টার বিমানবন্দর ছেড়ে যাওয়ার জন্য প্রায় অর্ধ ডজন ফ্লাইট এখন বাতিল করা হয়েছে।

কুয়াশার কারণে আজ বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়ার প্রায় প্রতিটি ফ্লাইট দেরি হওয়ার পরে এটি আসে।

যুক্তরাজ্যের ব্যস্ততম বিমানবন্দর হিথ্রো থেকে ভ্রমণকারী যাত্রীরাও আজ বিলম্বের শিকার হয়েছেন।

ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বেশ কয়েকটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে, যখন আজ বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়ার কারণে আরও শতাধিক ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে – কিছু কয়েক ঘন্টা।

গ্যাটউইক এবং ম্যানচেস্টার বিমানবন্দরে কিছু যাত্রী আজ চার ঘণ্টার বেশি বিলম্বের সম্মুখীন হয়েছে।

শুক্রবার ম্যানচেস্টার বিমানবন্দর থেকে প্রায় প্রতিটি ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছিল, বেশিরভাগ ফ্লাইট দুই ঘন্টারও বেশি পিছিয়ে ছিল। গার্নসি, ডাবলিন, মিউনিখ এবং হুরগাদার মতো বেশ কয়েকটি গন্তব্যে চার ঘণ্টার বেশি দেরি হয়েছে।

গ্যাটউইকে বিলম্ব কম গুরুতর বলে মনে হয়েছিল, যদিও বেশিরভাগই ছিল দুই ঘণ্টার কাছাকাছি।

ফ্লাইট রাডার অনুসারে উভয় বিমানবন্দরে সন্ধ্যায় ফ্লাইটগুলি এখনও বিলম্বের মুখোমুখি হওয়ার আশা করছে।

ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় বাজেট এয়ারলাইন, ইজিজেটবলেছে যে এটি বর্তমানে কম দৃশ্যমানতার কারণে তার ফ্লাইং প্রোগ্রামে কিছুটা ব্যাঘাতের সম্মুখীন হচ্ছে।

“যদিও এটি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে, আমরা বিলম্বের প্রভাব কমানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি,” একজন মুখপাত্র বলেছেন।

দেশটির প্রধান এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) প্রদানকারী ন্যাটস শুক্রবার বলেছেন, কুয়াশার কারণে যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকটি বিমানবন্দরে বিমান চলাচলের বিধিনিষেধ রয়েছে বলে যাত্রীদের তাদের এয়ারলাইনের সাথে চেক করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

ন্যাটসের একজন মুখপাত্র বলেছেন: “বিস্তৃত কুয়াশার কারণে, আজ সারা যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকটি বিমানবন্দরে অস্থায়ী বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই ধরণের বিধিনিষেধ শুধুমাত্র নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য প্রয়োগ করা হয়।

“আমরা পরিস্থিতি নিরীক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছি এবং আমাদের অপারেশনের মধ্যে একটি মেট অফিস বিশেষজ্ঞ এম্বেড করেছি যাতে আমাদের কাছে সর্বশেষ উপলব্ধ তথ্য রয়েছে। আমাদের দলগুলি বিঘ্ন কমাতে বিমানবন্দর এবং এয়ারলাইনগুলির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।”

যুক্তরাজ্যের ব্যস্ততম বিমানবন্দরগুলিতে ঘন কুয়াশা বিপর্যস্ত হওয়ায় নতুন বছরের কয়েক দিন আগে এয়ারলাইন যাত্রীরা ভারী বিলম্বের সম্মুখীন হচ্ছেন৷

গ্যাটউইক এবং ম্যানচেস্টার, যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর, খারাপ আবহাওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে রয়েছে৷

শুক্রবার ম্যানচেস্টার বিমানবন্দর থেকে প্রায় প্রতিটি ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছিল, বেশিরভাগ ফ্লাইট দুই ঘন্টারও বেশি পিছিয়ে ছিল। গার্নসি, ডাবলিন, মিউনিখ এবং হুরগাদার মতো বেশ কয়েকটি গন্তব্যে চার ঘণ্টার বেশি দেরি হয়েছিল।